আশুলিয়ায় বংশী নদীতে বন্ধুদের সঙ্গে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর টুটুল শেখ নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের তত্ত্বাবধানে মরদেহ উদ্ধার করে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শনিবার বেলা ১১টার দিকে আশুলিয়ার ডগরতলী ইটখোলা এলাকায় বংশী নদীর তীরে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে একই স্থানে সাঁতার কাটতে গিয়ে নদীতে নিখোঁজ হয় ওই শিক্ষার্থী।
নিহত টুটুল শেখ আশুলিয়ার এনায়েতপুর বাঁশতলা এলাকার উজ্জ্বল শেখের ছেলে। সে আলহাজ জাফর ব্যাপারী স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে চার বন্ধু মিলে বংশাই নদীর ওই এলাকায় মাছ ধরতে যায়। পরে মাছ ধরা শেষে নদী সাঁতরে পার হওয়ার চেষ্টা করছিল তারা। এ সময় তিনজন সাঁতরে নদীর তীরে উঠলেও নিখোঁজ হয় টুটুল। পরে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলে রাত ৯টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তল্লাশি চালিয়ে নিখোঁজ ওই শিক্ষার্থীর সন্ধান না পেয়ে ফিরে যায়। শনিবার সকালে নদীর তীরে তার ভাসমান মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। ধামসোনা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ শফিউদ্দিন বলেন, নদীতে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ ভাসতে দেখে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আশুলিয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।
Leave a Reply