নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ভাড়া বাসায় বিস্ফোরণে যে ৯ জন দগ্ধ হয়েছে, তাদের মধ্যে এক মাস বয়সী ইমাম উদ্দিন মারা গেছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সার্জন সুলতান মাহমুদ।
তিনি বলেন, “ইমাম উদ্দিনের শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ওই ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।”
শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে পাইনাদী পূর্বপাড়া এলাকার একটি টিনশেড বাসায় বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে পাশাপাশি দুই কক্ষে বসবাস করা আসমা ও সালমা নামের দুই আপন বোন এবং তাদের স্বামী-সন্তানরা দগ্ধ হন।
আহতদের মধ্যে আটজনকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সামান্য আহত হওয়ায় আসমার স্বামী তানজিল ইসলামকে নেওয়া হয় স্থানীয় একটি হাসপাতালে।
বর্তমানে বার্ন ইনস্টিটিউটে যারা চিকিৎসাধীন, তারা হলেন- আসমা বেগম (৩৫), তাদের মেয়ে তিশা (১৭) ও ছেলে আরাফাত (১৫); আসমার বোন সালমা বেগম (৩২), তার স্বামী হাসান (৪০), মেয়ে মুনতাহা (৮) ও জান্নাত (৪)। মৃত ইমাম দগ্ধ সালমা-হাসান দম্পতির ছেলে।
আহতদের মধ্যে আসমার শরীরের ৪৮ শতাংশ, তিশার ৫৩ শতাংশ, আরাফাতের ১৫ শতাংশ, সালমার ৪৮ শতাংশ, হাসানের ৪৪ শতাংশ, মুনতাহার ৩৭ শতাংশ ও জান্নাতের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান।
আহত হাসানের বন্ধু হাবিবুর রহমান বলেন, আগুনের ঘটনা শুনে তিনি ওই বাসায় যান। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
“এলাকার লোকজন বলেছে প্রথমে একটা বিকট শব্দ হয়েছে। এরপর আগুন লাগে। ওটা টিনশেড ঘর ছিল, তাপ কমানোর জন্য ওপরে ফলস সিলিং লাগানো হয়েছে, আগুনে ওইগুলো পুড়েও তাদের সবার শরীরে এসে পড়েছে। তাতে তারা আরও বেশি দগ্ধ হয়েছে।”
প্রতিবেশী মামুন বলেন, আসমা-সালমাদের বাবা আব্দুর রশিদ এ বাসার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। কিছুদিন আগে রশিদ মারা যান। তার তিন মেয়ে, জামাই ও নাতি-নাতনি পাশাপাশি তিনটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন।










