আগের দিনের সংঘর্ষের জেরে রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পরপর দুই দফা হামলায় ভবনের নিচতলার একটি অংশ পুড়ে যায়।
দেশের বিভিন্ন জেলায় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মধ্যে রাজধানীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, প্রথম দফায় গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে কার্যালয়ের বাইরে ভাঙচুর চালান এবং আগুন ধরিয়ে দেন। ঘণ্টাখানেক পর উল্টো দিকের গলি থেকে আসা আরেকদল ব্যক্তি দ্বিতীয় দফায় হামলা চালিয়ে পুনরায় অগ্নিসংযোগ করে।
পরে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। তবে ওই সময়ই সেখানে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন। হামলার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। তবে দলটির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী গণ অধিকার পরিষদকে দায়ী করে বলেন, “গতকালের ঘটনার জের ধরে গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, “গণ অধিকার পরিষদের একটি কর্মসূচি ছিল। কর্মসূচি শেষে তারা আগুন দেয়। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”
এর আগে শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণ অধিকার পরিষদের মিছিল যাওয়ার সময় উভয় দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ওই ঘটনার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে মশাল মিছিল শেষে প্রেস ব্রিফিং করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।










