রবিবার | ৯ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৪ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৭ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭

সিগারেট খেতে নিষেধ করায়

মালিবাগে সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারে তাণ্ডব

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিগারেট খাওয়া নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে সোহাগ পরিবহনের রাজধানীর মালিবাগ কাউন্টারের সামনে বাস কাউন্টারে ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে কাউন্টারের ১৪ থেকে ১৫ কর্মচারীসহ সোহাগ পরিবহনের মালিক আলী হাসান তালুকদার পলাশও আহত হয়েছেন।

সন্ত্রাসীরা আলী হাসান তালুকদার পলাশের বাসায়ও হামলা করেছে। হামলা ঠেকাতে গিয়ে দেশীয় অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন পলাশের ড্রাইভার মাসুদ। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়েছে।

সোহাগ পরিবহনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, স্থানীয় ৬০ থেকে ৭০ জন যুবক এসে মব তৈরি করে অতর্কিত হামলা চালায়। কাউন্টার ভাংচুরের পাশাপাশি নিরীহ যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজনকে মারধর করা হেয়েছে।

কাউন্টারের একাধিক কর্মী জানান, রাত ১১ টার দিকে দুই যুবক সোহাগ পরিবহনের মালিবাগ কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিলেন। এ সময় কাউন্টার কর্তৃপক্ষ তাদের দূরে গিয়ে ধূমপান করতে বললে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।

পরবর্তীতে ওই দুই যুবক কিছুক্ষণ পর ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি দল নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে কাউন্টারে হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করে। এতে কাউন্টারের কাচ ও আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামলার সময় আতঙ্কে আশপাশের সাধারণ মানুষ দৌড়ে সরে যায়।

আলী হাসান পলাশ তালুকদারের ভাই মাজেদুল হক নাদিম বলেন, ‘পলাশ ভাইকে আক্রমণ করে গাড়ি ভাঙচুর করে। বাসার গেটেও হামলা করেছে। তবে হামলা কারীরা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। পলাশ ভাইয়ের গাড়ির ড্রাইভারের শরীরেও অসংখ্য কোপ লেগেছে।ৎ

রমনা মডেল থানার ডিউটি অফিসার এআই আশরাফুল ইসলাম জানান, ‘জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেছে। সেখানে ওসি তদন্ত, ডিউটিরত এসআই ও উর্ধ্বতনরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন।

ঘটনাস্থল থেকে রমনা মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ নাহিদ জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ৬০ থেকে ৭০ জন লোক কাউন্টারে এসে এলোপাথারি মারপিট করেছে। কাউন্টার ভাঙচুর করে স্টাফদের মেরেছে। সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের কোপে দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। এছাড়া আরও অনেকে আহত হয়েছেন। কারা হামলা করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, আহতরা ঢামেক ও সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হামলার নেপথ্যের কারণ ও ভিডিও ফুটেজ ধরে হামলাকারীদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে।

আপনার মন্তব্য

Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

অনুসরন করুন

সর্বশেষ খবর

আর্কাইভ

  • Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930