ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রচারণার প্রথম দিন নিজেদের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ তুলেছে ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’।
ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলটি এ ঘটনার জন্য ‘একটি কুচক্রী মহলকে’ দায়ী করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে দুটি ব্যানার বসানো হয়েছে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের। একটি অনুষদের ভেতরে; আরেকটি ফটকের পাশে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি আসে, যেখানে অনুষদের ভেতরের ব্যানারটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা বলা হয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ব্যানারের বিভিন্ন অংশ ছেঁড়া। কোনো কোনো প্রার্থীদের ছবি ছিদ্রও করা হয়েছে।
অন্যদিকে ফটকের পাশে থাকা ব্যানারটি নিচে পড়ে থাকলেও অক্ষত ছিল।
এ বিষয়ে চারুকলা অনুষদের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর ইসরাফিল রতন বলেন, “আমরা সিসিটিভি ভিডিও চেক করে দেখেছি, দুজন ব্যানার ভাঙচুর করছেন। তাদের একজন লাল টি-শার্ট ও অন্যজন কালো টি-শার্ট পরা। তবে তাদের পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি।”
এ ঘটনায় জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এস এম ফরহাদ বলেন, “আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, একটি কুচক্রী মহল ডাকসু নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে ব্যানার মাটিতে ফেলে দিয়েছে। জোটের কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী সাবিকুন নাহার তামান্নার ছবিকে বিকৃত করে তাদের পূর্বের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। নির্বাচন কমিশনের উচিত দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা।”
“বোরকা পরা একজন নারী শিক্ষার্থীর ছবি বিকৃত করার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, এখনো ‘খুনি হাসিনার’ আমলের ঘৃণা, ইসলামোফোবিয়া ও হিজাবোফোবিয়ার কুৎসিত রাজনীতি টিকে আছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড নিঃসন্দেহে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং ধর্মীয় প্রতীকের অবমাননার সামিল।”
তিনি বলেন, “আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ ও সবার জন্য উন্মুক্ত ক্যাম্পাস বিনির্মাণ করতে চাই। যে কুচক্রী মহল এই সুন্দর ক্যাম্পাস বিনির্মাণের অগ্রযাত্রাকে চক্রান্তের মাধ্যমে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তাদের পরিণতি পতিত ফ্যাসিবাদের মতোই হবে।”
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) থেকে শুরু হয়েছে ডাকসু নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। সব প্যানেল আলাদাভাবে নিজেদের প্রচারণা শুরু করেছে।










