রবিবার | ৯ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৪ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৭ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭

ভাবিকে হত্যার সাজা খেটে বাড়ি ফিরে আবার ভাতিজিকে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি, বরগুনা

প্রতিকি ছবি

বরগুনার তালতলী উপজেলায় ছয় বছরের এক শিশুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে তার চাচাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার ইদুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুর নাম নাহিল আক্তার। সে ওই গ্রামের বাসিন্দা দুলাল খানের মেয়ে। অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম হাবিব খান (২৭)। তিনি দুলালের ছোট ভাই ও নাহিলের চাচা।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে দোকানে বিস্কুট আনতে যাচ্ছিল নাহিল। এ সময় শিশুটিকে পেছন থেকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন তার চাচা হাবিব খান। এতে শিশুটির মাথা ও হাত গুরুতর জখম হয়। এ অবস্থায় স্বজনেরা তাকে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বরিশালে নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় নাহিলের মৃত্যু হয়। পুলিশ রাতেই মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

ওই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা হাবিবকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এর আগে ২০১৫ সালে বড় ভাই দুলাল খানের প্রথম স্ত্রী তানিয়া বেগমকে হত্যার অভিযোগ ওঠে হাবিবের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় শিশু আইনে তাঁর কারাদণ্ড হয়। গত বছরের প্রথম দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পান হাবিব। এবার তাঁর বিরুদ্ধে দুলালের দ্বিতীয় স্ত্রী ফাহিমা আক্তারের মেয়ে নাহিলকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

এ সম্পর্কে দুলাল খান বলেন, ‘হাবিব আমার জীবনটা শেষ করে দিয়েছে। ২০১৫ সালে আমার প্রথম স্ত্রীকে হত্যা করে। তখন ওর বয়স ছিল ১৭ বছর। হাজত খেটে সে বাড়ি ফিরে এসেছে। এর দেড় বছরের মাথায় আমার মেয়েকেও পিটিয়ে হত্যা করল। আমি হাবিবের ফাঁসি চাই।’

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, শিশুটিকে হত্যার ঘটনায় হাবিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা দুলাল খান বাদী হয়ে হাবিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

আপনার মন্তব্য

Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

অনুসরন করুন

সর্বশেষ খবর

আর্কাইভ

  • Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930